হেলেনের পর এবার ধেয়ে আসছে মিল্টন নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এর ফলে বড় হারিকেনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ফ্লোরিডা উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে। আঘাত হানার আগে এটি দ্রুত বড় হারিকেনে রূপ নিতে পারে। রোববার এ বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, রোববার ভোরে এটি ফ্লোরিডার টেম্পা থেকে প্রায় এক হাজার ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। পরে এটি প্রতি ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার বেগে পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এটি এখন ৯৫ কিলোমিটার বেগে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানান, মিল্টন ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে এটি ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে। সম্ভাব্য অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে এবং স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যমে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে সম্প্রতি ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘুর্ণিঝড় হেলেন। এ সময় ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। বিধ্বংসী গতির এই ঝড়ের কারণে বিগ বেন্ড এবং এর আশপাশের এলাকার অজস্র গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তাঘাট ডুবে যায়।
ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর হেলেনকে ‘ক্যাটাগরি ৪’ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দেয়। বিগ বেন্ডে আছড়ে পড়ার পর জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দিকে এগোতে থাকে হেলেন। এ সময় কমতে থাকে ঝড়ের গতিবেগও।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক দিয়ে ১৪তম এবং প্রশস্ততার দিক দিয়ে তৃতীয়। ফ্লোরিয়ায় আঘাত হানার সময় এর পরিধি ছিল ৬৭৫ কিলোমিটার।