মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন

‘শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’

  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৫ বার পঠিত হয়েছে

শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (০৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসস

তিনি বলেন, শিশুরাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কান্ডারি। সবার জন্য একটি টেকসই, মানবিক ও সুন্দর বিশ্ব গড়তে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য তাদের মৌলিক অধিকার তথা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিশুরা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনে ইতিবাচক বিশ্ব গড়ে তোলা সহজ হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সব শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। এ সনদের অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় ‘শিশু আইন ১৯৭৪’ এর ধারাবাহিকতায় দেশে শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ বিশেষ করে কন্যা শিশুদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা। সরকারের এসকল পদক্ষেপ শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯২৪ সালে সর্বপ্রথম লীগ অব নেশনস ঘোষণা করেছিল মানবজাতির সর্বোত্তম যা কিছু দেওয়ার আছে শিশুরাই তা পাওয়ার যোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৩ সালে বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রথম উদযাপিত হয় বিশ্ব শিশু দিবস। পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৫৪ সালে অক্টোবর মাসের ১ম সোমবার বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ