মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন

সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সাকিব যেন দেশে অবসরে নিতে পারে

  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৯ বার পঠিত হয়েছে

দেশের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ মুহূর্তে আটকে যায় সাকিব আল হাসানের দেশে আসা। সাকিব সমর্থকেরা মানববন্ধনও করেছিলেন রাজপথে। অনেকে দাবি করেছিলেন, সাকিবকে দেশে ফেরানোর জন্য বিসিবি খুব বেশি সহায়তাও করেনি।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ অবশ্য ব্যাপারটি উড়িয়ে দিয়েছেন। আজ বোর্ড সভার আগে মিরপুর শেরেবাংলায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তার শেষ টেস্ট খেলতে দেয়নি, একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এ ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার এবং সাকিব আল হাসানের ব্যাপার। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি, যাতে সাকিব আল হাসান যেন দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে, আমার চেষ্টাটা আমি করেছি।’

 

ফারুক মনে করেন, সাকিব শুধুই ক্রিকেটার নন, তাঁরা রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। তাঁর নামে রয়েছে হত্যা মামলা। সরকার ও আইনের ব্যাপার জড়িত সাকিবের সঙ্গে। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিব শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নন, তার আরেকটা পরিচয় আছে, আগের সরকারের একজন এমপি ছিলেন। কিছু মনোভাব আছে। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ আর ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ এক না। আমি একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে চেষ্টা করেছি, সে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, এখান থেকে অবসর নিতে পারলে ভালো হতো।’

 

ক্রিকেটের বাইরের কর্মকাণ্ডের কারণেই সাকিবের দেশে ফেরা হয়নি মনে করছেন ফারুক। এটা ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল বললেন তিনি, ‘পাশাপাশি অন্য বিষয়গুলোও দেখতে হবে আমাদের। সব বিষয় মিলে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি। বোর্ডের কিছু করার ছিল না। কারণ এটা পুরোপুরি আইনগত একটা বিষয়, আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত বিষয়। এটা সাকিব আর আইন শৃঙ্খলার ব্যাপার ছিল। বোর্ড কোনো অংশ ছিল না। আমরা বোর্ড যতটুকু সাধ্য নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম।’

পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ