নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিশ্বস্ত সহযোগী নিজেকে ছাত্রলীগে নেতা পরিচয় দানকারী যুগ্ম-সচিব নজরুল ইসলাম আওয়ামী সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও নওফেলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। সরকারি কলেজ শিক্ষকদের বদলী ও পদায়ন বানিজ্য করে কোটিপতি বনে গেছেন যুগ্মসচিব নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাউশি, ব্যানবেইজসহ শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দপ্তরে কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূত ভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: নজরুল ইসলাম।

নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূত ভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করার প্রমান মিলেছে। তিনি সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা- ২০২০-এর আওতায় গাড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোনও কোনও কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (৫০ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করার অনুরোধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে গত ২ সেপ্টেম্বর এ অনুরোধ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত অথচ ওই নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়টি বন্ধ করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এ ধরনের প্রবণতার ফলে একদিকে জনপ্রশাসনে বিশঙ্খলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে। অন্যদিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সমাজে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সরকারের দায়িত্ব সচেতনতা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে সরকার এ বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের প্রাইজপোস্টিং পাওয়া যুগ্মসচিব নজরুল ইসলাম অনিয়ম-দুর্নীতির পরেও সিন্ডিকেট করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছেন।