সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সঙ্গে। ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে নতুন করে যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের অবদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নামবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা আগেই বলেছি ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলা চাই। বাংলা থেকে ফ্যাসিবাদকে উচ্ছেদ করতে হবে। সেইসাথে তাদের দোসরদেরও উচ্ছেদ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে আমরা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।
ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগ এবং এতে ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয় এ কর্মসূচি। এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি কোনো ভাবেই মেনে নেবে না ছাত্রসমাজ।
এ সময় তারা বলেন, জুলাই-আগস্টে ফেসবুকে ২/১টা পোস্ট দিয়েই উপদেষ্টা হয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে হচ্ছে সেটি বোঝা দরকার।
উত্তরবঙ্গের কোনো জেলার কেউ উপদেষ্টা নিয়োগ না পাওয়ার সমালোচনাও করেন আন্দোলনকারীরা। অবিলম্বে এমন নিয়োগ ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের।
প্রসঙ্গত গতকাল রোববার বঙ্গবভনে শপথ নিয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন—ব্যবসায়ী সেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।