মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘ ভয়াল ‘ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেতা শওকত সজল

  • আপডেট এর সময় : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৪ বার পঠিত হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক:

সারাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে আমাগী ২৯ শে নভেম্বর শুভমুক্তি পাচ্ছে ‘ ভয়াল ‘। সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ‘এ’ গ্রেডে ছাড়পত্র পেল প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমা ‘ভয়াল’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা বিপ্লব হায়দার। সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন শওকত সজল।
সিনেমাটি নিয়ে আলাপ হয় শওকত সজলের সাথে।

প্রশ্ন: শওকত সজল, আপনি কিভাবে ভয়াল সিনেমার সাথে যুক্ত হলেন?
শওকত সজল জানায়, ভয়াল সিনেমাটির কার্যক্রম শুরু হয় উত্তরা ৪ নং সেক্টর ১৯ নম্বর রোডে রেলগেটের একটি চায়ের দোকান থেকে। পরিচালক বিপ্লব হায়দার আমার সাথে আলাপ করে ৯০ মিনিটের ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য ওয়েব ফিল্ম করবে। গল্পটি শুনে খুবই ভালো লাগল। তাকে বললাম এই গল্পটি ফিল্ম হতে পারে। বিল্পব সম্মতি জানাল। আমি আর বিপ্লব প্রডিউসারের সাথে মিটিং করলাম। তিনি প্রথমে ইনভেস্ট করতে রাজি হয় নাই। আমি আর পরিচালক বিপ্লব তাকে আশস্ত করলাম, আমরা সকল সাপোর্ট তাকে দিবো। তিনি একপর্যায়ে কাজ শুরু করতে বললেন। আমাদের টিম স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করলাম। বিপ্লব আমাকে বলল, আপনি কামাল চরিত্রটিতে অভিনয় করবেন। আমি রাজি হলাম।
প্রশ্ন : সিনেমাটি কোথায় শ্যুটিং করা হয়?
সিনেমাটি মৌলভী বাজার জেলার কমলগঞ্জ থানা আদমপুর ইউনিয়নের ৪ কি:মি: অদূরে কালিঞ্জী পুঞ্জী খাসিয়া পল্লীতে শ্যুটিং করা হয়েছে। পুঞ্জিতে সাধারণত বাঙালী বা বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ। আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন ও অভিনেতা ম্যাক বাদশার সহযোগীতায় শ্যুটিংটি করা সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন : সিনেমাটি করতে গিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার কথা যদি বলতেন!
শ্যুটিং স্পটটির চারপাশে জঙ্গল ভূমি থেকে ৩০০ ফিট উপরে পাহাড়ের থরে থরে সাজানো ছোট ছোট ঘর। বিদ্যুৎ না থাকলেও সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। পুঞ্জিবাসীর একমাত্র আয়ের উৎস পান চাষ। আধুনিক ও সব্য সমাজ । খুবই অথিতি পরায়ন । যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কাচা সরু পথ বৃষ্টি হলেই ইউনিয়নের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ। তাদের বাহন হচ্ছে বাই সাইকেল ও চাঁন্দের গাড়ী । আমাদেও শ্যুটিং এর মধ্যে চারদিন বৃষ্টির কারণে যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। । ১৩ দিন শুটিং শেষে আসার সময় সবার কান্না এখনো মনে পড়লে মন খারাপ লাগে।
শ্রীমঙ্গল, কালামপুর বাজারে একটি রিসোটে আমি বিপ্লব হায়দার, ম্যাক বাদশা, সাইফুল ও ডিওপি সোহাগ খান তিন মাসের বেশী সময় ধরে ছিলাম। আমি ও ম্যাক বাদশা আমাদের চরিত্রের জন্য গ্রুমিং করেছি। বিশষে করে ম্যাক বাদশা তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অনেক পরিশ্রম করেছে। তিনি এই সিনেমায় নায়িকার বাবা চরিত্রে খুবই ভালো অভিনয় করেছেন।
প্রশ্ন : এই সিনেমায় কামাল চরিত্রটি কেমন?
কামাল চরিত্রটি নেগেটিভ চরিত্র। সমাজের একজন খারাপ লোক। চোরাকারবারী, নারী লোভী ও একজন অসৎ লোক। কমেডি ধাসের চরিত্র বলতে পারেন। দর্শকের ভালো লাগার মত এই চরিত্রটি।
প্রশ্ন : এই ফিল্মের মেকিং সম্বন্ধে কিছু বলুন
বিপ্লব হায়দারের অসাধারণ গল্প নিয়ে দূদান্ত নির্মাণ ভয়াল। যে লোকেশনে চিত্রায়ণ করা হয়েছে ভয়াল সিনামাটি মনে হবে সাউথ ইন্ডিয়ার কোন লোকেশনে । সিনেমাটিতে তিনটি গান রয়েছে আশা করি দর্শকের মন জয় করতে পারবে। চিত্র পরিচালক সোহাগ খান চিত্রায়ণ খুবই ভালো করেছে।

প্রশ্ন : ভয়াল সিনেমাটি ১৮+ কেন সিনেমা সার্টিফিকেশন পেলো ?
এমন কিছু দৃশ্য সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের চোখে লাগছে তাই ১৮+সিনেমা বলছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জনজীবনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে। মমতাময়ী মা, সুন্দরীর মেয়ে ও মাতাল চরিত্রহীন বাবার কেমেষ্ট্রি । চরিত্রহীন কামাল, পুঞ্জি প্রধান ও তার পুত্রসহ সকলের ভালো ও কলুষিত চরিত্রের বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে। মূলত পুঞ্জিবাসীর নিত্য দিনের সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে চিত্রায়িত হয়েছে। ধন্যবাদ পরিচালক বিপ্লব হায়দার ও সিনেক্র্যাফট ক্রিয়েশনের কর্ণধারকে।

প্রশ্ন: এই সিনেমা নিয়ে দর্শকের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
এই সিনেমাটি দর্শকের খুবই ভালো লাগবে। দর্শক সিনেমা হলমুখী হবে এবং উপভোগ করবে এই আশাবাদ ব্যাক্ত করছি।আপনাকে ধন্যবাদ।

উল্লেখ্য শওকত সজল ছাড়াও সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন, ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান, লুৎফর রহমান জর্জ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, ম্যাক বাদশা, রাজু খান, মো: সাইফুল ইসলাম, পারভেজ সুমন, ইকবাল, ইয়াসিন কানন ও আরো অনেকে।

পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ